Tuesday, 14 April 2015

সাধ্বী দেবা, মহাঋষি মহেশ যোগী, শ্রী শ্রী রবি শংকর, ইচ্ছাধারি বাবা ভীমানান্দ, স্বামী নিত্যানন্দ ইত্যাদি ঠাকুরগুরুদের যৌন কেলেঙ্কারী।

ইন্ডিয়াতে আধ্যাত্মিক গুরুদের কমতি নেই বললেই চলে। তাদের বিভিন্ন ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ সকলেরই কম-বেশি জানা রয়েছে। তাদের কেউ কেউ স্বর্গে যাবার অগ্রিম টিকেট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তাদের মধ্যে অনেকেই বিপরীত লিঙ্গের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ধরণের অদ্ভুদ কেলেঙ্কারিতে তারা লিপ্ত। গতকাল তাদের মধ্যে একজন অন্য ধর্ম বিষয়ক মন্তব্য করে সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন।

সাধ্বী দেবা ঠাকুরঃ
 মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জোর করেই নির্বিজকরণ করিয়ে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করলেন ভারতের হিন্দু মহাসভার অন্যতম শীর্ষ নেত্রী সাধ্বী দেবা ঠাকুর। শনিবার এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, 
“মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রকে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে। সেখানে সব মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জোর করে নির্বিজকরণ করাতে হবে, যাতে তারা সংখ্যা বৃদ্ধি না করতে পারে”।
 সাধ্বী জানান, 
"হিন্দুদের উচিত অধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দেয়া, যাতে সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ে"। 
এখানেই শেষ নয়। সাধ্বী এর পাশাপাশি আরও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। 
তিনি জানান, 
"হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি মসজিদ ও গির্জায় বসাতে হবে"।
 পাশাপাশি, নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমী’ বলে উল্লেখ করে হরিয়ানায় তাঁর মূর্তি বসানোর জোর সওয়াল করেন তিনি।



মহাঋষি মহেশ যোগী:
মহেশ যোগী ১৯৬৮ সালে “দ্যা বিটলস আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা” হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দ্যা বিটলস এর জন লেনন তাদের ভারত সফরের সময় একটি গান প্রচার করেন, গানটির নাম “সেক্সি স্যাডি” ছিল। তারা এর নাম “মহর্ষি” রাখতে চেয়েছিলেন। তখন থেকেই মহেশ যোগীর কলঙ্কের অধ্যায় জানা যায়। তারা ইন্ডিয়া থেকে যাবার সময় গানটি লিখেছিলেন। তারা মহর্ষি এর কুকর্মের কথা জানতে পারেন। তিনি চিকিৎসার নামে মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করত। তারপরই তারা ইন্ডিয়া ত্যাগ করেন। মহর্ষি তাদের ইন্ডিয়া ত্যাগ করার কারন জানতে চাইলে তারা বলেন, 
“আপনি তো মহাজাগতিক। মনের সব কথা বুঝতে পারেন। তাহলে আমাদের মনের কথা জেনে নিন”।

কয়দিন আগে আবার নতুন করে সে বিতর্কে জড়িয়ে যায়।
ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে এমন আশায় ৪০০জন পুরুষকে শুক্রাশয় কেটে ফেলতে প্ররোচিত করেন রাম রহিম সিং।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, আজ থেকে ১৫ বছর আগে, ২০০০ সালে এ ঘটনাটি ঘটলেও এতদিন পর্যন্ত ওই ৪০০জন পুরুষের মধ্যে কেউই এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি। যে কারণে বিষয়টি চাপা পড়েছিল। ১৫ বছরে প্রথমবার এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
এছাড়াও, ২০০২ সালে এক তদন্তকারী সাংবাদিকের হত্যায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা ভক্ত যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেও কখনই গ্রেপ্তার হননি রাম রহিম।
প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ভক্তের সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। দেরা সচা সৌদার প্রতিষ্ঠাতা রাম রহিম এখন অভিনয় করেছেন ছবিতেও।


শ্রী শ্রী রবি শংকর
গত ডিসেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের homosxuality decriminalizing 2009 ল্যান্ডমার্ক ফয়সালা সংস্করন করা হলে, আধ্যাত্মিক স্বামী রবি শংকর টুইটার লিখেছিলেন - " সমকামিতা হিন্দু সংস্কৃতিতে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। আসলে, প্রভু Ayyappa(বিষ্ণু ও শিব ) হরি – হারা হিসেবেই জন্মগ্রহণ করেন "।
পরে তিনি টুইট করেছেন - 
" সমকামীতা, কোনো অপরাধের মধ্যে পরে না। সবার মাঝেই পুরুষ এবং মহিলার উপাদান আছে। তাদের কর্তৃত্ব মতে, প্রবণতা এবং পরিবর্তনও হতে পারে "।
 অন্য পোস্টে শ্রী শ্রী লিখেছেন -
"কাউকে তার যৌন বৈষম্য এর জন্য মুখোমুখি করা উচিত নয়। এই কিম্ভুতকিমাকার জন্য কাউকে অপরাধী হিসেবে ব্র্যান্ডেড করা ঠিক হবে না "।


ইচ্ছাধারি বাবা ভীমানান্দ:
২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু পাচারের অভিযোগ গঠন করা হয়। তিনি দিল্লিতে বিমানবালা, শিক্ষার্থী ও বিবাহিত নারীদের ২,৫০,০০০ টাকায় বিক্রয় করে দিত। তার অনেক বড় সংগঠন ছিল এ নিয়ে। এই ইচ্ছাধারি বাবা এসকল কাজ করে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকা আয় করেন।
ইন্ডিয়াতে এসকল কার্যকলাপ অনেক প্রথম থেকেই চলে আসছে। তবু এদের জন্য পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থা নেই। এখনও প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন তর্কের সৃষ্টি করছেন, তাদের মধ্যেই বিভিন্ন সাধবি বাবা, যোগী, মহারিসি ইত্যাদি আধ্যাত্মিক গুরুগণ।–সূত্র: ওয়ান্ডার। 


গুরুদের আরো  কেলেঙ্কারী দেখুন http://www.satkahan.com/feature/curious-scandals-of-Indian-swamis?print=1

No comments:

Post a Comment